নীল বিদ্রোহের মাটিতে নীল চাষেই স্বাবলম্বী কৃষকরা

ব্রিটিশ আমলে নীল চাষে বাধ্য করার প্রতিবাদে রংপুর অঞ্চলে ‘নীল বিদ্রোহ’ হয়েছিল। কালক্রমে সেই প্রাকৃতিক নীল চাষ করেই স্বনির্ভর হয়েছে এ জেলার হাজারো পরিবার। নীল চাষের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে ডায়িং কারখানা। আর এই পণ্য যাচ্ছে বিদেশেও, আসছে বৈদেশিক মুদ্রা।

উপনেবেশিক সময়ের শোষণের হাতিয়ার- নীল, এখন সম্ভাবনার হাতছানি। প্রাকৃতিক নীলের চাহিদা বাড়ায় রংপুরে বাণিজ্যিক ভাবে শুরু হয়েছে নীল চাষ।

দিন পাল্টেছে, তাই নীল চাষে নতুন সম্ভাবনা দেখছেন রংপুরের কৃষকরা। জেলার পাগলাপীর, তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ১০ হেক্টর জমিতে শুরু হয়েছে নীল চাষ। আর তা এখন স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি রপ্তানী হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারেও।

নীল গাছের গাঢ় সবুজ পাতা থেকে একদিকে তৈরি হচ্ছে সবুজ সার আর অন্যদিকে গাছ থেকে তৈরি হচ্ছে উৎকৃষ্ট মানের জ্বালানি। তাই তামাক চাষ ছেড়ে চাষীরা নীল চাষে ঝুঁকছেন বলে মত নীল উদ্যোক্তাদের।

নীল উৎপাদন বাণিজ্যিক ভাবে আরো বাড়াতে চাষীদের সহযোগীতার কথা জানিয়েছেন রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো.মাসুদুর রহমান।

জৈব সার ও জ্বালানির প্রয়োজনে ৮ বছর আগে বাড়ির পাশে উঁচুভিটা, পতিত জায়গায় শুরু হয় নীলচাষ। ক্রমেই কৃষকদের অর্থনৈতিক ফসল হিসেবে এর চাষ বাড়ছে।